পীরগঞ্জের রামনাথপুরের চেরাগপুর গ্রাম। গত রোববার মণ্ডলবাড়িতে গিয়ে সৈকত মণ্ডলের খোঁজ করলে এগিয়ে আসেন তাঁর মা আঞ্জুয়ারা বেগম। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে চাইলে সৈকতের বাবার আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পরামর্শ দেন তিনি।
‘হাজারো লাঠি ও ইট দিয়ে টিনের বাড়িতে হামলা করে। এমন শব্দ হতে থাকে যে, মানুষ ঘর ছেড়ে যে যার মতো পালায়। ধানের উচ্চতা বেশি থাকায় বেশির ভাগ মানুষ ধানখেতে শুয়ে লুকায়। আবার কিছু মানুষ প্রতিবেশী মুসলিমদের বাড়িতেও লুকায়।’
একদিকে সব পুড়ে খাক। বিধ্বস্ত সবকিছু। মানুষ ও মানুষের আবাস কোনো কিছুই আর স্বাভাবিক নেই। সবকিছুতেই একটা অচেনা আবহ। একদিকে মানুষের নিষ্ঠুরতায় বিহ্বল সব হারানো মানুষ। এই ক্ষত তো সহজে ঘুচবার নয়। অন্যদিকে গ্রেপ্তার ও আটকের আতঙ্কে রয়েছে বাকিরা। বলা হচ্ছে রংপুরের পীরগঞ্জের কথা।
রংপুরের পীরগঞ্জে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলায় নেতৃত্বদানকারী হিসেবে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সৈকত মণ্ডল নামের এক কলেজছাত্রের কথা বলছে। যদিও এ ছাত্রলীগ নেতার গ্রামে গিয়ে জানা গেল ভিন্ন তথ্য। তার পরিবারের দাবি, সৈকতের নাম শারীরিক প্রতিবন্ধী হিসেবে সরকারি খাতায় রয়েছে।